আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা ৭.৮ বিলিয়ন। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার লাগাম টানতে গর্ভধারণ করার মানসিকতা কমানোয় জোর দিচ্ছেন ফ্রান্সের বাসিন্দারা। এমনকি সন্তান ধারণে অনিচ্ছাও তৈরি হয়েছে প্যারিসের নারীদের মধ্যে। ‘সন্তানবিহীন’ থাকার মনোভাব বাড়ছে দেশটির নারীদের মধ্যে।
এ ব্যাপারে প্যারিসের বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী তরুণী ম্যানন জানান, সন্তান জন্ম দেওয়া আমাদের জীবনযাত্রার পরিপন্থী। আমি কখনই সন্তান চাই না। যত বয়স বাড়ছে এই ধারণা আমার আরও বাড়ছে। সবচেয়ে বড় কথা আরও একটি প্রাণকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার অর্থ অর্থনীতিতে চাপ বাড়ানো
ম্যাননের মতো প্যারিসের অধিকাংশ তরুণীর এমনটা মনোভাব। তাদের মতো পৃথিবীকে সবুজ রাখতে জনসংখ্যা কমানোর উপর জোর দেওয়া উচিত। আর তাই প্যারিসেনর তরুণীরা নিজেদের সন্তানহীন হিসেবেই রাখতে চাইছেন। কেউ কেউ আবার নিজেদের বলছেন ‘জিংকস’। যার অর্থ গর্ভধারণ না করে সবুজের প্রতি ঝোঁকা।
এ প্রসঙ্গে ইউটিউবার অ্যানা বোগেন বলেন, এই পৃথিবীতে কোনো সন্তানকে নিয়ে আসার ইচ্ছা নেই আমার। সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার পর তার প্রতি দায়িত্ব থাকবে আমার। সমগ্র বিশ্ব সম্বলহীন হয়ে পড়লে তাকেও বিপদের পথে ঠেলে দেওয়া হবে। একটি শিশুকে ভালো জীবন উপহার দিতে না পারলে তাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার কোনো মানে নেই।
এ ব্যাপারে ডেমোগ্রাফিক রেসপন্সিবল সংগঠনের সভাপতি ডেনিস গার্নিয়ার বলেন, গত ১০ বছরের সন্তান না নেওয়ার হার জনপ্রিয় হয়েছে। নতুন প্রজন্মের দম্পতিরা অনেক সচেতন। গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে গবেষণা মানুষকে আরও সচেতন করে তুলেছে।
সংগঠনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট জানা গেছে, আগামী ২০২২-২৩ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। পৃথিবীর জনসংখ্যা যত বাড়বে ততই কার্বন-ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়বে। আর ততই জলবায়ু পরিবর্তনের সমর্থন বাড়বে। সে ক্ষেত্রে ফ্রান্সে একটি করে শিশু কম জন্মানোর অর্থ ৪০ টন কার্বন-ডাই অক্সাইড কম উৎপন্ন হওয়া। ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার মাত্র দুই টন করে কার্বন-ডাই অক্সাইড কম উৎপন্ন করে।
সূত্র:যুগান্তর